দুশালিখ’-এর হঠাৎ একদিন দেখা হলো একটা নদীর ধারে। অথচ তাদের দেখা হওয়ার কোনও কথা ছিলো না। একজন শালিখ সারাদিন সারাদুনিয়ার মানুষকে শিখিয়ে বেরায় ‘ত্বকের যত্ন নিন’, আর রাতের বেলা টুকটুক করে গুছিয়ে রাখে নিজের ‘বসা-বাটি’। অন্য শালিখের মন থাকে না বাসায়। ঘুরে বেড়ায় আনাচকানাচ। কে কোথায় কি সুরে গান গায়, কার চোখ কি কথা বলে যায় চকিতে, কে কত রং মেখে নেয় ফ্যাকাসে গালে। আর সে তিড়িংবিড়িং করে লাফিয়ে ওঠে। সে কোন ঘর খুঁজে পায় না, তাই সে তা সাজানোর স্বপ্নও দেখে না। সে স্বপ্ন দেখে এমন একটা ঘর বাঁধবে কারোর মনে, যে ঘর বানে ভেসে যায় না। নদীর পাড়ে যখন দেখা হয়েছিলো দুজনের, প্রেমিক শালিখ সেই ঘর বানাবার খড় জোগাড় করা শুরু করেছিলো আর প্রেমিকা শালিখ বাসা-বাটির জন্য সুগন্ধ কুড়িয়েছিলো সেদিন। তারপর সারারাত একটু একটু করে খড় বেঁধে বেঁধে ছাদ ছাওয়া শুরু, সুগন্ধ মিশে যায় রাতের মিহি হাওয়ায়। সারারাত জোনাকিদের সাথে জ্বলে থাকে দুজনার ছোট ছোট স্বপ্ন। পরদিন ভোর হয়। কাজ এসে ধুয়ে দিয়ে যায় রাতের আবেশ। কারও কারও ত্বক হয়ে ওঠে কালচে, কারও মনের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়, দৌড় তুমুল দৌড়। স্বপ্ন ফুটপাথে বসে থাকে অনাথ শিশুর মত। আবার রাত আসে স্বস্তি নিয়ে। আবার জ্বলে ওঠে জোনাকির আলো। ঘুম আসে স্বপ্নের সাথে। তবে আজকাল আর স্বপ্নে রামধনু খেলে না, নিদেনপক্ষে মেঘলা নদীর পাড়ের হাওয়াও নিয়ে আসে না, আজকাল খালি দৌড়, আর দৌড়।
সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে চাই। এই মুহূর্তে “মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে” গাইতে পারছি না। ইচ্ছে হচ্ছে না।