বিতান চক্রবর্তী-র ‘শরণার্থী’ হাতে নিলেই সবার প্রথমে চোখ টানে বইটির প্রচ্ছদ। আগাগোড়া গেরুয়া মলাটে মোড়া বই। একজোড়া পাদুকার ছবি রয়েছে মলাটজুড়ে। পাদুকা, নাকি খড়ম! আধখাওয়া আপেলের ছবি-র কোলাজ। গেরুয়া রং যদি হয় ত্যাগ-তপস্যা-মোক্ষের প্রতীক, আপেল তাহলে নিশ্চয়ই জীবনের রং, রূপ, গন্ধকে প্রকাশ করে। অর্থাৎ জীবনকে পরিপূর্ণ ভোগ এবং উপভোগের পাশাপাশি বৈরাগ্যকে রেখে জীবনের কোনো এক গভীর সত্য উচ্চারণ করতে চেয়েছেন লেখক এই গ্রন্থে। বাংলায় একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘চটি বই’। সেভাবে দেখতে গেলে ‘শরণার্থী’ চটি বই-ই বটে। তবে, এ-বই ভারে কাটে না, ধারে কাটে। শানিত বাক্যবন্ধে, মাত্র আঠারোটি কবিতার নুড়ি-পাথর ছড়িয়ে, হীরা-জহরতের মতো অত্যন্ত দামি কিছু কথা উচ্চারণ করেছেন বিতান, যেখানে মিশে গেছে দর্শন, সাহিত্য, আধ্যাত্ম। এবং সর্বোপরি আচারসর্বস্বতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ‘মুক্তি’-র এক নিজস্ব ব্যাখ্যা।
— শ্রীতা মুখার্জী (বাংলা বিভাগ, দয়াল সিং কলেজ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়)
Buy
Add a Comment